করোনা টিকার ভয়াবহ দুর্দশা

করোনা টিকা নেওয়ার অনেকেরই দেখা দিয়েছে নানান রোগ ও সমস্যা, এ নিয়ে আপনাদের বলবো নানান কথা! পড়ুন সম্পুর্ণ আর্টিকেল।

করোনা টিকার ভয়াবহ দুর্দশা
Image by André Santana Design André Santana from Pixabay

২০২০ সালের সারা বিশ্ব নাড়িয়ে দেয় অদৃশ্য এই ভাইরাস। এই মহামারী মানুষের জীবনে এনেছে অপ্রত্যাশিত ভয়াবহতা। আক্রান্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ অসংখ্য পরিবার, হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ছিল চরম চাপে।

Photo by cottonbro studio from Pexels

এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বিজ্ঞানীরা দ্রুত তৈরি করেন করোনা টিকা। 
ফাইটজার, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকা,  মর্ডানা সিনোফার্মের মতো টিকা করোনা মোকাবেলায় সাহস জুগিয়েছে।
তবে টিকার আশীর্বাদ যেমন ছিল তেমনি সম্প্রতি সময়ে সাথে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, গবেষণায় উঠে এসেছে করোনাকালে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ধরনের টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন।

স্বাস্থ অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে- অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকা নেওয়ার পর ৭৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৫৫ শতাংশ গ্রহিতা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। 

নারীদের উপর এর প্রভাব

নারীদের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া কিছুটা বেশি, প্রথম ডোজের পর অনেকেই জানিয়েছেন টিকা দেওয়ার জায়গায় ব্যথা জ্বর এবং মাথা ব্যথার মত সমস্যা রয়েছে! দ্বিতীয় ডোজের পর এই উপসর্গ গুলো কমে এলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অন্যদিকে ফাইজার ও মডার্নার মত টিকা গুলোর ক্ষেত্রে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া বেশি দেখা গেছে। এই টিকা নেওয়ার পর কিছু ক্ষেত্রে আশঙ্কা রয়েছে মস্তিষ্ক হৃদপিণ্ড এবং রক্তের জটিলতা বাড়ার।

বিশ্লেষণে যা জানা গেছে

 অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকা সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে- এই টিকা বিরল রোগ যেমন রক্তে জমাট বাধা ও প্লাটিলেট কমে যাওয়ার সমস্যা তৈরি করতে পারে। গবেষকরা বলছেন কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর অনেক রোগী মানসিক স্বাস্থ্য শ্বাসকষ্ট দুর্বলতা কাশি এবং উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষত যাদের আগে থেকে ডায়াবেটিস ক্যান্সার বা হৃদরোগ ছিল তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরো জটিল হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর মানসিক স্বাস্থে নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ছে।
এছাড়া হাইপারটেনশন কিডনি জটিলতা এবং হার্টের সমস্যা থাকলে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা!